শপথ নিলেন আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া দুই বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের (মাঝে) সঙ্গে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বামে) ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। ছবি : সংগৃহীত

                                                                               

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন এ কে এম আসাদুজ্জামান ও ফারাহ মাহবুব। এর ফলে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জনে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এর আগে, সোমবার রাষ্ট্রপতি এই দুই বিচারপতিকে নিয়োগ দেন। পরে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় তাদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫-এর দফা (১)-এর অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতির শপথ গ্রহণ

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন এ কে এম আসাদুজ্জামান ও ফারাহ মাহবুব। এর ফলে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জনে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানিয়েছে, সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে এই দুই বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছেন।

এর আগে, সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫-এর দফা (১)-এর ক্ষমতাবলে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও ফারাহ মাহবুবকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

                                                                           

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

বিচারপতি আসাদুজ্জামান ১৯৮৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০১ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০০৫ সালে স্থায়ী বিচারক হন। সম্প্রতি তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ বেশ কয়েকটি আলোচিত মামলার রায় দিয়েছেন।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ১৯৯২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা আদালতের উকিল হিসেবে নথিভুক্ত হন। ১৯৯৪ সালের ৯ এপ্রিল তিনি হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০২ সালের ১৫ মে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

#সুপ্রিম কোর্ট #আপিল বিভাগ #বিচারপতি #শপথ পাঠ #প্রধান বিচারপতি