এমন এক শিশুকন্যার জন্ম দিলেন মা, ভয়ে 'চিৎকার' করে উঠলেন নার্স! দেখে হতবাক ডাক্তার...! এমনও সম্ভব?
 |
মহিলার কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার
ঘটনা এখন গোটা বিশ্বে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। এমনকি যিনি শিশুটির জন্মদানে
সহায়তা করেছেন, সেই ডাক্তারও অবাক হয়ে যান। আর নার্স তো রীতিমতো চিৎকার করে
ওঠেন।
এক মহিলার কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা এখন গোটা বিশ্বে চর্চার বিষয় হয়ে
উঠেছে। এমনকি যিনি শিশুটির জন্মদানে সহায়তা করেছেন, সেই ডাক্তারও অবাক হয়ে
যান। আর নার্স তো রীতিমতো চিৎকার করে ওঠেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম WVTM13 জানাচ্ছে, জন্মের চার সপ্তাহ আগে ডাক্তাররা
অনুমান করেছিলেন শিশুটির ওজন ৮ পাউন্ড হতে পারে, কিন্তু পরে এক টেকনিশিয়ান
জানান যে ওজন ১০ পাউন্ড হতে পারে। তবে বাস্তবে দেখা যায়, শিশুটি তাঁদের
অনুমানের চেয়েও অনেক বড়।
এই শিশুটি নির্ধারিত সময়ের ১৬ দিন আগেই জন্ম নেয়। নবজাতক হলেও সে ইতিমধ্যেই
ছয় মাস বয়সি শিশুদের পোশাক পরছে, কারণ সাধারণ নবজাতকের তুলনায় তার গড়ন
অনেকটাই বড়।
আলাবামার বার্মিংহামে বসবাসকারী এবং পেশায় ডেলিভারি ড্রাইভার পামেলা মেইন
নামের এক মহিলা মঙ্গলবার এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। সদ্যোজাতর নাম রাখা
হয়েছে প্যারিস হ্যালো।
এই শিশুটি আলাবামার গ্র্যান্ড ভিউ মেডিক্যাল সেন্টারে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে
জন্ম নেয়। জন্মের পর যখন শিশুটিকে দেখা যায়, তখন সবাই হতবাক হয়ে যান।
পামেলা জানান, "যখন ডাক্তার তাঁকে আমার শরীর থেকে বের করলেন, তখন সব নার্স
একসঙ্গে বলে উঠলেন, ‘হে ভগবান!’
পামেলা প্রথমে বুঝতেই পারছিলেন না ঠিক কী ঘটেছে। পরে জানা যায়, আসলে
ডাক্তার ও নার্সরা শিশুটির ওজন দেখে চমকে গিয়েছেন। জন্মের সময় শিশুটির ওজন
ছিল ১৩ পাউন্ড ৪ আউন্স, অর্থাৎ প্রায় ৬ কেজি। সাধারণত কোনও সুস্থ শিশুর
জন্মের সময় গড় ওজন হয় ৭ পাউন্ড বা ৩.১৭ কেজি।
যদিও প্যারিসের ওজন অত্যন্ত বেশি, তবুও সে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী শিশুর
তালিকায় নেই। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ভারী শিশুটি
১৯৫৫ সালে ইতালিতে জন্মেছিল, যার ওজন ছিল ২২ পাউন্ড বা প্রায় ১০ কেজি।
#শিশুকন্যা #চিৎকার #নার্স #ওজন১০ পাউন্ড #১৯৫৫ সালে
.png)
0 মন্তব্যসমূহ